হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, অর্থনীতি, রাষ্ট্র পরিচালনা ও পরিবারসহ সমাজের সব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা থাকতে হবে।
ইরানের ধর্মীয় মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুজ্জাহরা'র একদল কর্মকর্তা, শিক্ষক ও ছাত্রী গতকাল (বুধবার) সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দূরে থাকতে পারে না। কারণ খোদ হজরত মুহাম্মাদ (স.)-কে ধর্মীয় শাসন কায়েম করার জন্য পাঠানো হয়েছিল।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব হলো সমাজকে পথ দেখানো। আর যেহেতু সমাজ প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হবে, আধুনিকায়ন করতে হবে। তবে যারা এই পরিবর্তন সাধন করবেন তাদের অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন- রাষ্ট্র পরিচালনার ধরণ এবং অর্থনেতিক সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন নতুন বিষয়ে যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো বিষয়ে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ভূমিকা থাকতে হবে, তাদের মতামত আসতে হবে। এই সব বিষয়েই ইসলাম ধর্মে দিক-নির্দেশনা, মতামত, যুক্তি এবং আদর্শ রয়েছে। এসব আদর্শ খুঁজে বের করে তা নিয়ে কাজ করতে হবে।